রাজশাহীতে আবারো বিদ্যুতের খাম্বায় শ্রমিকরা কাজ করা অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। এতে দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর পাঠানপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক খাম্বায় শ্রমিক থাকা অবস্থায় সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়েছিল। এতে রেজাউল ইসলাম নামে নেসকোর এক হেলপার মারা যান। এর চার মাসের মাথায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার আহত দুজন হলেন- আকবর আলী (৪০) ও শামিম হোসেন (৪৫)।
রাজশাহীর কাটাখালি এলাকায় তাদের বাড়ি। তারা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শ্রীরামপুর এলাকায় বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের কাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীরামপুর এলাকায় সিভিল সার্জনের বাংলোর সামনে সার্কিট হাউস ফিডারের অধীনে এই কাজ চলছিল। দুই শ্রমিক বৈদ্যুতিক খাম্বায় উঠার আগে অফিস থেকে ১১ হাজার কেভির এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু তারা কাজ করা অবস্থায় আবার লাইন চালু করে দেওয়া হয়। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তারা সেফটি বেল্টের কারণে খাম্বায় ঝুলে থাকেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। প্রায় আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ বিষয়ে নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না; যা বলব তাই ভুল হবে। তবে এটুকু বলতে পারি দুই শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নেসকোর রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, দুর্ঘটনার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি হচ্ছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, নেসকো কর্মী রেজাউলের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। এটা মানবসম্পদ বিভাগ বলতে পারবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।